ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতেও জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
Published : 14 Oct 2022, 12:22 AM
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে ভোটারদের নিষেধ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপন কক্ষে ভোট প্রদানের ছবি তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ১৭ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে এবং সিসি ক্যামেরাও থাকবে।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং তিন পদে সব মিলিয়ে ১১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটারের প্রদত্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা বা ভঙ্গ করার চেষ্টা অসদাচরণ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ বিধি বহির্ভূত কার্যক্রম বা অসদাচরণ প্রতিরোধে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩১ এ সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
"কোনো ব্যক্তি, তিনি যে কোনো পদ বা মর্যাদার অধিকারী হন না কেন, ভোটকেন্দ্রের গোপনীয় কক্ষে বা নিকটে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনো ভোটারের গোপনীয়তার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার বাধাগ্রস্থ করলে আইনানুযায়ী তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।"
এসব বিষয় কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি অথবা রিটার্নিং অফিসার বা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে অবহিত করতে হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপনীয়তা রক্ষার বিধান প্রতিপালনে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এ নির্দেশনায়।
চিঠিতে কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা এ দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপরাগতা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে ইসি।