রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেওয়া কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা লয়েড শোয়েপকে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করার আবেদন করা হয়।
Published : 31 Oct 2023, 07:57 PM
নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডার দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও তাদের মধ্যে একজনকে আবার তলবের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের কর্মকর্তা কেবিন দুগ্গানের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন
এর আগে সোমবার কানাডার আরেক পুলিশ সদস্য লয়েড শোয়েপের সাক্ষ্য নেয় আদালত।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এই সাক্ষ্য গ্রহণ চলে।
মঙ্গলবার মামলার কেবিন দুগ্গানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেওয়া কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা লয়েড শোয়েপকে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করার আবেদন করা হয়।
আবেদনে রাষ্ট্র বলে, জবানবন্দিতে কিছু অংশ বাদ পড়ায় আবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন। আদালত ওই আবেদন শুনানি এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আসামি সেলিম ভূঁইয়ার আইনজীবী জাকারিয়া হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে কানাডার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য হাজির হতে গত ১৯ অক্টোবর সমান জারি করেন আদালত। দুই দিন আগেই দুই সাক্ষী বাংলাদেশে আসেন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য।
এই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল।
খালেদার নাইকো মামলা: সাক্ষ্য দিলেন কানাডা পুলিশের দুই সদস্য
২০০৮ সালের ৫ মে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে তিন জন পলাতক।
জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসমি ছিলেন। তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।