বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা: বাবা রিমান্ডে

মেয়েটির মৃত্যুর পর তার মা বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2022, 05:23 PM
Updated : 1 Sept 2022, 05:23 PM

ঢাকার দক্ষিণখানে ছাদ থেকে লাফিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তার বাবাকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

গ্রেপ্তার বাবাকে পুলিশ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে। তাকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার এসআই মোছা. রেজিয়া খাতুন।

শুনানি শেষে মহানগর শুভ্রা চক্রবর্তী একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে বলেন,

মেয়েটি ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ছিলেন। তার বাবা কোনো মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করেননি।

তবে সেই আবেদন নাকচ করে আদালত।

গত শনিবার ওই তরুণীর আত্মহত্যা করার পর বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মেয়েটির মৃত্যুর পরদিনই তার মা বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার পর দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া জানিয়েছিলেন, যে ভবন থেকে মেয়েটি লাফ দিয়েছিলেন, সেই বাড়ি থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন তারা। তাতে মেয়েটি মৃত্যুর জন্য তার বাবাকে দায়ী করেন।

পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাবার গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা (রেন্ট এ কার) আছে। স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে দক্ষিণখানের ভবনটিতে পাওয়া ফ্ল্যাটেই তারা থাকতেন। কিছুদিন আগে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা প্রকাশ পেলে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপরও তিনি মাঝে মাঝে ওই বাড়িতে যেতেন।

মেয়ের লেখাপড়ার খরচও তিনি দিতেন না বলে অভিযোগ মায়ের। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

পুলিশ আরও জানায়, মেয়েটির বাবা পাঁচ বছর আগে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

দক্ষিণখান থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেছিলেন, ওই বাড়ি থেকে ছাত্রীর মনোরোগের চিকিৎসা বিষয়ক কিছু কাগজপত্রও তারা উদ্ধার করেছেন। মার্চ মাসের প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক মেয়েটিকে একা না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।