উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
Published : 25 Oct 2023, 02:04 AM
ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত কমিয়ে দিতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১টায় আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন রাত ১টায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামুন স্থলভাগের ভেতরে আরো অগ্রসর হবে এবং বৃষ্টি বরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকবে।
ঝড়ের বিপদ কমে আসায় সংকেত কমিয়ে এনেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার বদলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন স্থলভাগ স্পর্শ করে। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার ৭ ঘণ্টা পর পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে এসেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন।
কক্সবাজারের ওপর তাণ্ডব চালাতে চালাতে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পরিণত হয় স্থল নিম্নচাপে। পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসার পর রাত ১টার দিকে স্থল নিম্নচাপ আকারে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায় অবস্থান করছিল এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারে দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান মঙ্গলবার রাত ১২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুজনের মধ্যে পৌর এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে দেয়াল চাপায়। আর মহেশখালী উপজেলায় গাছচাপায় একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
কক্সবাজার পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেয়াল ধসে যার মৃত্যু হয়েছে, তার নাম আবদুল খালেক, বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর গতিপথ ঘুরে যাওয়ায় কয়েক জেলার মানুষকে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১১ জেলার দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, অনেক জেলায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও সেখান থেকে চলে গেছেন।