গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; এবার স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রী। এ নিয়ে ওই ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হল।
রোববার সন্ধ্যায় নার্গিস আক্তার (২২) নামে ওই নারী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।
এদিন সকালেই নার্গিসের স্বামী মহিদুল খান (২৫) মারা যান। তিনিও একই ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন।
গ্রামের বাড়িতে একমাত্র সন্তানকে রেখে দুজন মিলে উপার্জনের জন্য গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তরুণ দম্পতি মহিদুল ও নার্গিস। গত বুধবার তাদের ভাড়া বাসার গলিতে একটি ছিদ্র থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লাগা আগুনে অন্যদের সঙ্গে দগ্ধ হয়েছিলেন তারাও।
ঘটনার পর থেকে তারা ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই দিনে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু স্বজদের কাঁদাচ্ছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎস পার্থ শঙ্কর শংকর পাল বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে মারা যান নার্গিস আক্তার। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মুহিদুলের চাচাতো ভাই মো. ফজলু বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। একমাত্র ছেলেকে গ্রামে রেখে দুইজন মিলে উপার্জনের জন্য গাজীপুরে এসেছিলেন। বুধবার অগ্নিকাণ্ডের সময় তারা ঘরের বাইরে ছিলেন। ঘরের সামনের গলিতে কয়েক সেকেন্ডের যে অগ্নিগোলক তৈরি হয়েছিল তাতে পুড়ে যান এই দম্পতিও। মুহিদুল একটি ঝুটের গুদামে এবং নার্গিস একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
একই ঘটনায় ফজলুর বোন শিল্পী বেগম ও তার দুই শিশুপুত্রও দগ্ধ হয়ে এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
নার্গিসের মৃত্যুতে গাজীপুরের ওই ঘটনায় মোট ছয়জনের মৃত্যু হল। রোববার মারা যান ওই ঘটনায় দগ্ধ আরিফুল ইসলাম (৩৮) ও নার্গিসের স্বামী মুহিদুল খান। এর আগে শনিবার শিশু তৈয়বা (৪) ও মুনসুর আলী আকন্দ (৪৫) মারা যান। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলেমান মোল্লা (৪৫)।
চিকিৎসকরা বলেন, রোববার রাত পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে গাজীপুরের ঘটনায় ২৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এদের ১৫ জনকেই আশঙ্কাজনক বলছেন তারা।
আরও পড়ুন: