“২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার পিছনে যারা কুশীলব, কিছুটা তো আমরা জানি কারা ছিল। আমরা জানি যে সেদিনের ঘটানার কিছুক্ষণ আগে বেগম খালেদা জিয়ার বাসা থেকে কালো রঙের একটি গাড়ি কোনো ধরনের প্রোটকল ছাড়া বেড়িয়ে গেছে।”
Published : 25 Feb 2024, 11:59 AM
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, পিলখানার ঘটনার ‘পিছনে’ যারা আছে, তাদেরও খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে রোববার সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক খানসহ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আলমাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থত ছিলেন।
ফারুক খান বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ আমাদের পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনার বিচার চলছে। বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। আমরা যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে।
"আমরা আশা করি যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।"
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
বিদ্রোহ ও হত্যায় জড়িত কয়েকশ আসামিকে বিচারের মুখোমুখি করা হলেও, যারা এর ‘হোতা’, তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফারুক খান বলেন, “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে সকল মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ করব আমরা।তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
“২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার পিছনে যারা কুশীলব, কিছুটা তো আমরা জানি কারা ছিল। আমরা জানি যে সেদিনের ঘটানার কিছুক্ষণ আগে বেগম খালেদা জিয়ার বাসা থেকে কালো রঙের একটি গাড়ি কোনো ধরনের প্রোটকল ছাড়া বেড়িয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়, তিনি জানতেন, এমন ঘটনা ঘটবে।”