ঢাকায় এক জাপানি নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যার উত্তর মিলছে না।
মৃত্যুর একদিন পর রোববার রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার সকালে লাশটি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত ব্যক্তির নাম শিন চাই হোন্ডা (৭৬) বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই জাপানির পাসপোর্ট বা বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
“ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে আসছিলেন।”
মহাখালী ডিওএইচএসের ৩০ নম্বর সড়কের একটি ভবনের চারতলায় থাকতেন এই জাপানি।
এই ভবনের চার তলায় মিরাজ মেহেদী নামে এক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর অফিস। মিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার অফিসের পাশে দুটি রুমে ওই জাপানি থাকতেন।
“শনিবার সকালে উনি ফোন না ধরায় ওই অফিসে গিয়ে দেখা যায়, যে রুমে তিনি থাকতেন, সেই রুমের বিছানায় তিনি পড়ে আছেন।”
পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পরে বিষয়টি জাপানি দূতাবাসকে জানানো হয় এবং শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে মৃতদেহটি রাখা হয়।
কাফরুল থানার এসআই আব্দুর রশিদ জানান, রোববার রাতে তারা বিষয়টি জানতে পেরে শমরিতা হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
মৃতদেহের শরীরে কোনো আঘাত বা অন্য কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসআই রশিদ জানান, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেহেদী মিরাজ রোববার থানায় গিয়ে একটি এনওসি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তখনই এই জাপানি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারার কথা জানান এসআই রশিদ।
“সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে এসে জাপানি দূতাবাসের লোকজন মৃতব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্টসহ প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।"
মিরাজ জানান, ওই জাপানি নাগরিক তাকে ওই দেশের বাজার ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
“কিন্তু তার দ্বারা আমার প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ পায়নি বলেন। আমি জেনেছি ওই বিদেশি ২০০৮ সালের আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কাজও করেছেন।"