“জাতিকে সেইফ গার্ডে রাখার জন্য এ আইনটি যাতে এ সংসদে পাস করা যায়, সে আহ্বান জানাব,“ বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
Published : 09 Apr 2023, 02:43 PM
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নতুন আইন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বসা বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রোববার এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ না থাকলে রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়তে পারে। নতুন আইন হওয়া উচিত, যাতে মিথ্যাচার, স্বাধীনতা বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
“আমি শুনেছি ল কমিশন নাকি এ ধরনের একটি আইনের প্রস্তাব দিয়েছে। জাতিকে সেইফ গার্ডে রাখার জন্য এ আইনটি যাতে এ সংসদে পাস করা যায়, সে আহ্বান জানাব।“
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, “সংসদ অকার্যকর করার জন্য গত দুটি নির্বাচন তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। তারা শুধু চক্রান্তই করছে না, যারা এ সংসদকে বিশ্বাস করে না, দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হিসেবে তারা এ কাজ করছে।
“আমি মনে করি সংসদ যেহেতু সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তাই এখানে মিথ্যাচার-ইতিহাসের বিকৃতি, তারা যখনই সময় পায় তখনি সে প্রচেষ্টা চালায়। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেল হত্যা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন।”
জাতি ‘দুভাগে বিভক্ত’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফিরোজ রশীদ বলেন, “জাতি আজ দুভাগে বিভক্ত। নিরপেক্ষ কেউ নেই, নিরপেক্ষ লোকই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জীবনকে রাতারাতি বদলে দেওয়ার একমাত্র পন্থা হচ্ছে রাজনীতি। এখন এটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে রাজনীতি নেশা ছিল, জীবনকে বাজি রেখে রাজনীতি করত। এখন এটা সবচেয়ে বড় পেশা। ”
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে দেখা যেত পাত্র যদি রাজনীতি করে তাহলে বিয়ে দিত না। কারণ সে কোনো চাকরি পাবে না, তাহলে সে খাওয়াবে কী?
“খাওয়াতে হলে পত্রিকা অফিসে চাকরি করতে হবে, নাহলে বটতলার উকিল হতে হবে, না হয় মুদি দোকানদার হতে হবে অথবা এজিবির কেরানিগিরি। কার কাছে মেয়ে দিবে? কিন্তু এখন যদি শোনে যে পাত্র সরকারি দল করে, তাহলে কয় আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হবে না। কারণ সে কিছু করতে পারবে।”
ফিরোজ রশীদ প্রশ্ন রাখেন, “টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, পেছনে কারা? লাইসেন্স তো বিক্রি করে দিচ্ছে। সমস্ত টেলিভিশন কাদের হাতে যাচ্ছে? যাকে লাইসেন্স দিচ্ছেন সে শুধু আপনাদের সাথে আছে।”
এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছে দাবি করেন জাতীয় পার্টির এই এমপি বলেন, “আওয়ামী লীগ ব্যবসা এনে দেয়। আর পিছে থাকে বড় বড় বিএনপি। এটা বাস্তবতা।”
সংসদের অনেক অর্জনের সঙ্গে ‘দুর্বলতাও’ আছে মন্তব্য করে ফিরোজ রশীদ বলেন, “আজ পর্যন্ত একটা কমিশন (বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায়) গঠন করতে পারছেন না। কারা জড়িত ছিল এই জাতি যদি জানতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের ভগ্নাংশ রেখে লাভ নাই।
“কারণ বঙ্গবন্ধুকে মারা ছিল বিশাল ষড়যন্ত্রের কাজ। ডালিম, ফারুক, রশীদ গিয়ে করল, তা নয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আপনারা বের করলেন না।”
ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “চরম বামপন্থি, চরম দক্ষিণপন্থি– তাদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না। কারণ সমস্ত নৌকায় উঠে চলে গেছে। নৌকাতো আপনারা বাইবেন। নৌকার পাইলট আপনারা। তারা উঠে বসে আছেন। কয়, মাঝি আর কতদূর? পার হতে কতদূর। নির্বাচনের আর নয় মাস আছে। এরপরই পার করে দিব। তারপর পাঁচ বছরের জন্য আপনারা নিশ্চিন্ত। তারা নৌকায় উঠে বসে গেছে। এইতো অবস্থা আওয়ামী লীগের।”
প্রতিবাদ না হওয়ার আক্ষেপ
প্রবীণ সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, “আমার আক্ষেপ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। আমরা অঝোরে কেঁদেছি। আমাদের হাতে কিছুই ছিল না। কিছুই করতে পারি নাই। আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমাদের হাতিয়ার ছিল না, কিছুই ছিল না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি।”
স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জেনারেল ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসত। ওর উপরে সব দায়িত্ব দিয়েছিল। বীর উত্তম, বীর বিক্রম সবকিছু। সে যাকে পাইছে, তাকে দিছে। এর কোনো হিসাব ছিল না।”
জেনারেল ওসমানী তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমাকে টেলিফোন করে, ‘আমি জনতা লীগ (জাতীয় জনতা পার্টি হবে) করেছি, আপনি আমার দলে থাকবেন’। আমি বললাম কী বললেন? আমিতো দল করি। আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কোন দল করেন?’ আমি বললাম, আওয়ামী লীগ করি। সে আমাকে বলে, ‘আওয়ামী লীগ কি এখনও আছে’?”
পঁচাত্তরের পর কোনো ভোট ‘সুষ্ঠু হয়নি’
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, “আজকের সংসদে জাতির পিতার দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অনেকাংশে অনুপস্থিত। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটেরাদের জন্য আজও সংসদে ইনডেমনিটি আইন পাস হয়। এটা লজ্জার ব্যাপার।“
তিনি বলেন, কিছু বিষয়কে ‘বিতর্কের ঊর্ধ্বে’ রাখা উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, সংসদ, সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংবিধান এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুললে ‘চরম বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হবে।
“মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ছিল সত্তরের নির্বাচন। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয় পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেনি। ১৯৭৩ সালের নির্বাচন নিয়েও কেউ প্রশ্ন তোলেনি।
“১৯৭৫ সালের পর বৈধ-অবৈধ কোনো সরকারের আমলে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কেউ উপহার দিতে পারেনি। কখনও সংবিধান কাটছাঁট, কখনও হ্যাঁ-না ভোট, কখনও ব্যালট বাক্স চুরি, কখনও এক কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার, কখনও আগের রাতে ভোট চুরি ইত্যাদি ইত্যাদি...। এই অপবাদ থেকে বাদ পড়েননি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও।”
‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের অপচেষ্টা’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, “আমরা এইটুকু কথা গর্ব করে বলতে পারি, যত কিছু হয় বাংলাদেশের মানুষ আজকে না খেয়ে নাই। পান্তা ভাত দেশের মানুষ চায় না। মানুষের বাসার দোরগোড়ায় ভিক্ষা করতে যায় না।”
‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে চুমকি বলেন, “এখন পঁচাত্তর সাল নয়, ২০২৩ সাল। বাংলাদেশ যাচ্ছে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। এখানে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবই যাব।
তিনি বলেন, “এক ধরনের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ভুলেই গেছে, বিজয়ের প্রাক্কালে এই দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। অথচ কীভাবে সেই বুদ্ধিজীবীরা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়!
“আমাদের ভাবতে অবাক লাগে, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি ছোট শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিতে দ্বিধা করেনি। শিশুশ্রম সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।… মিথ্যা তথ্য দিয়ে উন্নত দেশের মানুষ বলে সাংবাদিকদের কেন বিচার হবে? এটা একটা হাস্যকর।”
চুমকি বলেন, “যে দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মন্ত্রী-মিনিস্টারদেরও বিচার হয়। যে দেশে প্রতিটি স্তরের মানুষ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। সেখানে একজন সাংবাদিক, মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের দিয়ে আবার নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার প্রয়াস করেছে তাদের বিচার হবে না! আবার সেটা নিয়ে কথা বলে, এর চাইতে অবাক-বিস্ময়ের কিছু আমি মনে করি না। আমাদের সচেতন হতেই হবে। সচেতন না হয়ে উপায় নেই।”
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আবার সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। তিনি এই সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। সংসদীয় কমিটিগুলোকে কার্যকর করেছেন। এতে সংসদের নিকট সরকারের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের সব কার্যক্রম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করছে।”
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই সংসদ আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এই সংসদকে বলা হয় ‘হাউজ অব দ্য নেশন’, অর্থাৎ সমগ্র জাতির ঠিকানা এই সংসদ। এ সংসদকে কার্যকর করতে জাতির পিতা তার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে গেছেন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত করতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।”
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।”
সামনে অনেক দায়িত্ব নতুনদের
সংসদের ৫০ বছরপূর্তিতে প্রবীণ সংসদ সদস্যরা ছাড়াও নতুন সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। প্রবীণ সংসদ সদস্যরা তাদের বাবা, দাদা, নানাসহ পুরনো প্রজন্মের রাজনৈতিক ধারবাহিকতা ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম বলেন, “আজকে সবার আলোচনা শুনে মনে হয়েছে, আমরা একটা পরিবারে বাস করছি। আমার এতখানি অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী কতখানি মহান, কতখানি উদার...আমাদের বাবারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসছেন। আজকে আমি কৃতজ্ঞ তিনি আমাকেও নিয়ে এসেছেন।”
জাকিয়া তাবাসসুমের বাবা দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একই কক্ষে ছিলেন।
বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জাকিয়া তাবাসসুম বলেন, “বঙ্গবন্ধু যে কত মহান, মহৎ, সেটা কবিতা ও গান লিখে শেষ করা যাবে না। তার কন্যা শেখ হাসিনা কত মহৎ তিনি আমাদের খুঁজে-খুঁজে বেছে-বেছে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের সামনে অনেক দায়িত্ব।”
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, আওয়ামী লীগের এমপি ইকবালুর রহিম, শামীম ওসমান, সেলিম আলতাফ জর্জ, কাজী কেরামত আলী, সাইমুম সারওয়ার কমল, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, খান আহমেদ শুভ, শাহদাব আকবর, কাজী কানিজ ফাতেমা, বি এম কবিরুল হক, বেগম জাকিয়া পারভিন খানম, বেগম ফেরদৌসী ইসলাম ও বেগম মনিরা সুলতানা আলোচনায় অংশ নেন।
সকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।