দিয়াশলাই বা লাইটার নিয়ে ঈদ জামাতে নয়: মেয়র তাপস

মেয়র শেখ ফজলে ‍নূর তাপস।

আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে এমন কিছু জাতীয় ঈদগাহে না আনার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে ‍নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে এই অনুরোধ জানান তিনি।

মেয়র বলেন বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী, সুন্দর পরিবেশে ঈদের প্রধান জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে পারব। প্রিয় ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানাব, আপনারা ঈদের জামাতে আসবেন।

“তবে কেউ দিয়াশলাই বা লাইটার নিয়ে জাতীয় ঈদগাহে জামাতে আসবেন না। আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে এমন কিছু না আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

চলতি বছর রোজার শুরু থেকেই বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে মানুষকে। বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হওয়া দিয়ে শুরু। এরপর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটসহ এখানে সেখানে আগুনে বিপুল সংখ্যক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সেসব কথা স্মরণ করিয়ে তাপস বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তীব্র তাপদাহ রয়েছে। সুতরাং সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

‘ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়’

জাতীয় ঈদগাহে এবার প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যগণ, বিদেশি কূটনীতিকরাও তাতে অংশ নেবেন।

৩ লাখ ২২ হাজার ৮শ বর্গফুট এলাকার এই ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবহাওয়া বৈরী হলে বিকল্প প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি আসলে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য আমরা ত্রিপল দিয়েছি। দুর্যোগ হলেও যাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারেন সে ব্যবস্থা রেখেছি। যদিও তাও না পারি, তবে বায়তুল মোকাররমে প্রধান জামাত হবে।”

নারীদের নামাজের জন্যও এখানে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নামাজ শেষে বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পথ রাখা হয়েছে বলেও জানান মেয়র তাপস।

পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।