কালশী ফ্লাইওভার খুলছে ১৯ ফেব্রুয়ারি

দুই দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2023, 04:18 AM
Updated : 14 Feb 2023, 04:18 AM

মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলে দেওয়া হবে চলাচলের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন এই উড়াল সেতু উদ্বোধন করেবেন। ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ ফেব্রুয়ারি কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সময় দিয়েছেন। সেদিন উদ্বোধনের পর তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ওখানে এসে একটি জনসভা করবেন এবং ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। মিরপুরে এরইমধ্যে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। কালশী ফ্লাইওভার যুক্ত হলে ওই এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। মিরপুরের মানুষের জন্য একটা আশীর্বাদ।”

মেয়র বলেন, মিরপুরের মানুষের একটা দাবি ছিল কালশী ফ্লাইওভার। বিমানবন্দর সড়ক থেকে মিরপুর এলাকায় ঢোকার একটা প্রবেশপথ কালশী সড়ক। তবে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকত। যানজটের ভয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে মিরপুর যেতে হত। ফ্লাইওভারের নির্মাণ হওয়ায় আর তা করতে হবে না।

ফ্লাইওভার এলাকায় দুটি ফুটব্রিজ করা হয়েছে, তাতে থাকবে চলন্ত সিঁড়ি। সাইকেলের জন্য আলাদা লেইন রয়েছে।

ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি।

প্রকল্পের আওতায় ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। কালশী মোড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার।

চার লেইনের এই ফ্লাইওভারের র‌্যাম্প তিনটি। ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএসমুখী মূল ফ্লাইওভারটি চার লেইনের। কালশী মোড় থেকে কালশী সড়কের দিকে নেমেছে দুই লেনের একটি র‌্যাম্প।

মিরপুর ডিওএইচএস প্রান্ত এবং ইসিবি চত্বরের দিকের প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা যাবে। কালশী রোড প্রান্ত দিয়ে নামার সুযোগ রয়েছে, ওঠা যাবে না।

প্রকল্পের আওতায় দুইটি ফুটব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, দুটি পুলিশ বক্স, ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন নির্মাণ, ১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেইন এবং ছয়টি বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি করা হয়েছে।