“এখন সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়,” বলেন শেখ হাসিনা।
Published : 26 Feb 2023, 06:31 PM
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।”
রোববার গণভবনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিমোথি ওয়ালশ সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে তার স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের বরাতে জানিয়েছে বাসস।
শেখ হাসিনা বলেন, “একসময় দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হত। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
“এখন সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।”
অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবস্থানেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইনিওস অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের পরিচালক (জীববিদ্যা) অধ্যাপক টিমোথি ওয়ালশ বলেন, “অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেস্টিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বে একটি মহামারী আকারে আবির্ভূত হয়েছে।
“এখনই যদি এটা বন্ধ করা না হয়- তবে ভবিষ্যতে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগের এই অধ্যাপক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এর কারণে লাখো মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।”
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, ক্যান্সার ও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ দেশের স্বাস্থ্য খাতে সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কৃষি, মৌলিক বিজ্ঞান ও ওষুধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে।
“বৃত্তি-উপবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা- বিশেষত পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ও গবেষণা ক্ষেত্রের জন্য ২০০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।”
বৈঠকে অধ্যাপক টিমোথি ওয়ালশ বঙ্গবন্ধু-আইওআই ফেলোশিপের অধীনে তার প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও মৌলিক বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার প্রস্তাব দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ্।