ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে নতুন করে প্রণয়ন করা সাইবার নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হয়েছে; যেটির ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। সংসদে অনুমোদনের আগে এ ধারায় উপ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তায় পরিবর্তন এনে পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরে বিলের ওপর আনা বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে এটি কন্ঠভোটে পাস হয়। এদিন বিলের ৪২ ধারাসহ কয়েকটি বিষয়ে সমালোচনা করেন বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য। তারা বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও তল্লাশীর বিধান সংশোধনের দাবি তোলেন।
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সাংবাদিকরা কলম ধরেন দেশের স্বার্থে। তাদের বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলকে যুক্ত করার সুযোগ ছিল। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে। একই দলের হাফিজ উদ্দীন আহমদও এ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে ধরে এটিসহ সব বেআইনি ধারা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা এ আইনে যুক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ছিল উদ্বেগের বিষয় ছিল সেগুলো রয়ে গেছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী আলোচনায় অংশ নেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইনটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধী সদস্যরা একমত পোষণ করছেন। স্বচ্ছতা, জবাবহিদিতা ও নিরাপদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাইবার নিরপত্তা আইনের বিকল্প নেই।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)