ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চিকিৎসাধীন গণআন্দোলনে আহতদের বিএসএমএমইউতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
Published : 21 Nov 2024, 11:18 PM
জুলাই-অগাস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আহত যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদেরকে দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদালয় হাসপাতালে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহবাগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি এ কথা বলেন।
গণআন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সায়েদুর রহমান বলেন, “বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লককে ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি’ হাসপাতাল হিসেবে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাদের স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বিএসএসএমইউর কেবিন ব্লকে যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।
“বিএসএমএমইউর স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিচতলা আহতদের বহির্বিভাগ সেবা দিতে ডেডিকেটেড করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য সেখানে ফিজিওথেরাপি যুক্ত হবে। এ ছাড়া সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে রোবটিক্স ফিজিওথেরাপির জন্য। এজন্য যেসব যন্ত্রপাতি আছে তা বিএসএমএমইউ বা অন্য যেখানে সুবিধা হয় স্থাপন করা হবে। সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ দল আনা হবে।”
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। তালিকা প্রণয়ন ও কার্যক্রম এখনও অব্যাহত। শহীদ পরিবার যারা রয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। যারা আহত রয়েছে, তাদের তথ্য ভেরিফাই করা একটু কষ্টকর। আমরা নভেম্বরের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ শেষ করব।“
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, “আহতদের চিকিৎসার জন্য টাকার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এখন শহীদদের পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ ও আহতদের এক লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
“অবস্থা বুঝে আহতদের ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু যারা চিকিৎসার জন্য ৩ লাখের বেশি টাকা খরচ করেছেন, ডকুমেন্ট দেখালে তাদের সে টাকাও দেওয়া হবে।”