“সে ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণও নাই অনেক ক্ষেত্রে”, বলেন তিনি।
Published : 13 Nov 2024, 07:45 PM
কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেছেন, “মাদ্রাসাগুলোতে তারা যে পাঠ্যক্রম পড়াচ্ছে বা কী করছে তা কিন্তু সরকার হিসেবে আমাদের তত্ত্বাবধানে নয়। আমরা ঠিক জানি না তারা কী পড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণও নাই অনেক ক্ষেত্রে।”
বুধবার রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত 'প্রাথমিক শিক্ষায় পরিমার্জিত ডিপ্লোমা সম্পর্কিত কার্যকর সমীক্ষা' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
নাগরিকদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা ও সার্বজনীন করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা প্রধান মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো, সেখানে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক রয়েছে।
“শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, সে সমস্ত শিক্ষকরা ভবিষ্যৎ নাগরিকদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।”
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা রোধ করতে পর্যায়ক্রমে খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালু করার কথাও জানান বিধান রঞ্জন। বলেন, “স্কুলগুলোকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে বাচ্চারা আনন্দের সাথে লেখাপড়া করতে পারে।”
মাতৃভাষাকে শিক্ষার প্রধান মাধ্যম উল্লেখ করে অন্য ভাষাতেও দক্ষতা অর্জনের কথা বলেন উপদেষ্টা। বলেন, “তা না হলে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারব না।”
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মাইকেল ক্রেজজাও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কনসালটেন্ট দেবরাহ ওয়েবার্ন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহকারী বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান এবং এ টি এম রাফেজ আলম।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ৭৫ জন প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।