ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নিহতের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সেটি মুখ্য হাকিম মো. রেজাউল করিমের কাছে পাঠান। কোন আদালতে বিচার শুরু হবে তা পরে তিনি (রেজাউল) ঠিক করে দেবেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ৯ নভেম্বর সড়ক পরিবহন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পল্টন থানার এসআই আনিছুর রহমান। এতে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটির চালক ইরান মিয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী হারুন ও রাসেল খান; এ মামলায় হারুন ও রাসেল জামিনে রয়েছেন। আর ইরান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় ১৭ বছরে বয়সী নাঈম হাসানের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় তার বাবা শাহ আলম পল্টন থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোলচত্বরে রাস্তা পার হওয়ার সময় দক্ষিণ সিটির একটি ময়লার গাড়ি নাঈমকে ধাক্কা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“ওই গাড়ির প্রকৃত চালক ছিলেন ইরান। কিন্তু ইরান নিজে কাজে না গিয়ে হারুনের কাছে গাড়ির চাবি দিয়ে দেন। হারুন আবার গাড়ি দিয়ে দেয় রাসেলের কাছে। প্রকৃত চালক না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
এদিকে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ইরান অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে ২০২১ সালের জুলাই থেকে বদলি ড্রাইভার হিসেবে হারুনকে ওই ট্রাকের দায়িত্ব দিয়ে দেয়। ইরান দক্ষিণ সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে রাসেল খানকে ওই ট্রাক চালানোর জন্য দেয়। আসামিদের পরস্পরের যোগসাজশে রাসেল ময়লার ট্রাক বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে চালিয়ে নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। নাঈমের মৃত্যু আসামিদের একে অপরের সহায়তায় সংঘটিত হয়েছে।
নাঈমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে। কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটিতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। নীলক্ষেতের একটি বইয়ের দোকানের মালিক শাহ আলমের দুই ছেলের মধ্যে নাঈম ছিল ছোট।