রাজধানীর কাকরাইল থেকে আগের দিন গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের এ নেতাকে।
Published : 26 Dec 2024, 06:50 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা এবং জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রাজধানীর কাকরাইল থেকে আগের দিন মো. সাকিব নামে নামে একজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের এ নেতাকে।
পরে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জিন্নাত এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, এদিন বলরাম পোদ্দারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিন চেয়ে বলেন, বলরাম পোদ্দার একজন আইনজীবী। তিনি নিয়মিত ঢাকার আদালতে কাজ করেন। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ যে কারণে তদন্ত কর্মকর্তাও তার রিমান্ড চাননি। তাকে জামিন দিলে পলাতক হবেন না। দরকার হলে ১০ জন আইনজীবী তার জিম্মাদার হবেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার রাতে কাকরাইলের বাসা থেকে বলরাম পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করে রমনা থানা পুলিশ। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাদী জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ের বিপরীত দিকে হিসাব ভবনের পেছনে রাস্তায় মিছিল করছিলেন। এসময় আসামিরা বেআইনিভাবে দা, লাঠি, দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এসময় বাদী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন বাদীর দলীয় নেতাকর্মীরা ও ছাত্রজনতা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদাণ করে। এ ঘটনায় বাদী মো. সাকিব রমনা থানায় ১১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞান ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় বলরাম পোদ্দারকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের তথ্য আদালতে দিয়েছে পুলিশ।