জ্বালানি বিভাগের বার্তায় বলা হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহে স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
Published : 24 May 2024, 11:43 PM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর প্রভাবে সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ কমে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
শুক্রবার রাতে এক বার্তায় এমন সতর্কতা জানানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
সারাদেশে যখন তাপপ্রবাহ চলছে, তখন বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে, যা শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।
গভীর নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে। জাহাজে করে এলএনজি কিনে আনার পর তা টার্মিনালের মাধ্যমে রিগ্যাসিফিকেশনের পর পাইপলাইনে করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। ফলে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকলে ভাসমান টার্মিনালের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।
জ্বালানি বিভাগের বার্তায় বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহে স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গত বৃহস্পতিবারও দেশে তিন হাজার ৯৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়েছিল যার মধ্যে এলএনজির মিশ্রণ ছিল এক হাজার ৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট। শুক্রবারের হিসাব প্রকাশিত না হওয়ায় কাগজে কলমে সমস্যার মাত্রা স্পষ্ট হয়নি।
এর আগে গতবছর মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার একদিন আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
তাতে গ্যাসের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমে গেলে সংকট দেখা দেয়। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘনঘন লোড শেডিং শুরু হয় দেশজুড়ে। সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়।