প্রশাসকের মাধ্যমে সংগঠনের নির্বাচন দেওয়ার দাবি পদত্যাগীদের।
Published : 27 Oct 2024, 05:47 PM
বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন-বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ-উল-ইসলামসহ কমিটির ৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তারা বর্তমান কমিটি ভেঙে সংগঠনটিতে প্রশাসক নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিয়াজ-উল-ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির ২৭টি পদের মধ্যে তাদের সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ ২৩টি পদে জেতেন।
কিন্তু প্যানেলের প্রধান (সভাপতি) আবুল বাশার তার ১৫ থেকে ১৬ জন সমর্থককে নিয়ে পরাজিত প্যানেল প্রধান রুহুল আমীন স্বপনসহ ৪ জনকে নিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন।
এই রুহুল আমিন ‘মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটের মূল হোতা’ বলেও দাবি করেন রিয়াজ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বায়রার বর্তমান কমিটির কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বা বর্তমান কমিটি ৯০ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন এবং আপিল বোর্ড গঠনে ব্যর্থ হয়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
সেই প্রসঙ্গ টেনে রিয়াজ বলেন, গত ২৪ জুন জরুরি বৈঠক করে একটি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচন কমিশন এবং আপিল বোর্ড গঠন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন মহিকে। সদস্য করা হয় রুহুল আমীন স্বপনের আপন ভাগনে মাজহারুল ইসলামকে।
‘পক্ষপাতদুষ্ট ও অনভিজ্ঞ’ কমিশন একটি ‘প্রহসনের’ নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা’ আবারও বায়রায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ‘নিজেদের আখের গোছানো’ এবং ‘সিন্ডিকেট-বাণিজ্য’ চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
এফবিসিসিআইয়ের আরবিট্রেশন কমিটির কাছে এই নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড বাতিলের আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে রিয়াজ বলেন, “কিন্তু এফবিসিসিআইয়ের তৎকালীন নেতৃত্ব ‘পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর হওয়ায়’ এবং আমাদের প্যানেল প্রধান আবুল বাশার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদের প্রভাব খাটিয়ে এফবিসিসিআইকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিরত রাখে। পরে আমরা আদালতে গিয়েও এর সুরাহা করতে পারিনি।”
গত ২৩ অক্টোবর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইসি কমিটির বৈঠক আহ্বান করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় দাবি করে তিনি বলেন, “এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিটিংটি বাতিল করার নির্দেশ দেই।”
কিন্তু মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে’ মিটিংটি শেষ করে পলাতক নির্বাচন কমিশনারের বদলে তাদের পছন্দমত একজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে পুনরায় নির্বাচন কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেন।
এরই প্রতিবাদে রিয়াজ ছাড়াও সহ-সভাপতি-১ নোমান চৌধুরী, ‘বৈধ মহাসচিব’ শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, যুগ্ম মহাসচিব-১ ফখরুল ইসলাম এবং কালচারাল সেক্রেটারি রেহানা পারভীন সহ ৯ জন বায়রার সকল পদ এবং ইসি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তাদের পদত্যাগ এবং বেশ কয়েকজন ‘ফ্যাসিবাদের’ সদস্যও পলাতক থাকায় বায়রা দৃশ্যত অকার্যকর মন্তব্য করে অবশিষ্ট ‘ভঙ্গুর কমিটি’ বাতিল করে প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।