“তদন্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এখন অপেক্ষায় আছেন ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের।”
Published : 20 Aug 2024, 04:09 PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর শেখ হাসিনাসহ যাদের নামে গণহত্যার অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন একজন আইনজীবী।
অ্যডভোকেট এম এইচ তামিম মঙ্গলবার সাংবাকিদের বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আমাদের অভিযোগুলো তিনটি ‘কমপ্লেইন্ট’ হিসেবে নথিভুক্ত করেছে এবং এটিই হল মামলা। নথিভুক্ত করার পর একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।”
তদন্ত কার্যক্রমে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা আসামিদের প্রোফাইল ইতোমধ্যে রেডি করেছেন। ঘটনার পটভূমি রেডি করেছেন। এখন তারা অপেক্ষায় আছেন ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের।”
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরে গেছেন, একজন বিচারক হাই কোর্টে ফিরে এসেছেন এবং সব প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেছেন বলে জানান তামিম।
তিনি বলেন, “ইনভেস্টিগেশন অফিসার জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হওয়ার সাথে সাথে তিনি এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবেন। ট্রাইব্যুনাল যদি দরখাস্ত মঞ্জুর করে, তখন আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, ১৪ দলীয় নেতাসহ অনেকের বিরুদ্ধে তদন্তের তিনটি আবেদন জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
এ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর চূড়ান্ত বিচার শেষে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয় পরের কয়েক বছরে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের অধিকাংশ নেতা এখন আত্মগোপনে আছেন। কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ১৪ অগাস্ট সাংবাদিকদের বলেন, জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।
এরপর সেদিনই শেখ হাসিনাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে তদন্তের আবেদন জানানো হয়।