নারী পাচার চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে পাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউসুফের দেওয়া তথ্যে এ চারজনকে ধরেছে সিআইডি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 07:25 AM
Updated : 10 August 2022, 07:25 AM

টিকটক তারকা বানানো এবং বেশি বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে নারী পাচারে জড়িত এক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির মানবপাচার প্রতিরোধ ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রানা আহমেদ, মো. সুজন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন, নাইমুর রহমান ওরফে শামীম ওরফে সাগর।

সিআইডি কর্মকর্তা নজরুল বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে পাচারের ঘটনায় ইউসুফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে কারাগারে থাকা ইউসুফের দেওয়া তথ্যেই এ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বছরের ৪ মে ঝিনাইদহের মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ইউসুফ তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে পাচার করেন। সেখানে ইউসুফের সহযোগীরা তাদের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়।

সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ওই দুই বোন। পরে তারা কৌশলে যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় এ বছরের ২২ মার্চ দেশে ফিরে আসেন।

দেশে ফিরে তারা মামলা করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে।

জবানবন্দিতে ওই দুই নারী জানান, বছর দুই আগে তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি কারখানায় কাজ নেন। সেখানে থাকার সময় বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউসুফ, পরে বিয়েও করেন।

গতবছর বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে ইউসুফ তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতের নারী পাচারকারীদের কাছে ‘বিক্রি’ করে দেন।

ওই দুই নারী বলেছেন, ইউসুফ যে নারী পাচারে জড়িত, নিজেরা বিপদে পড়ার আগে সেটা তারা বুঝতে পারেননি।

সিআইডি কর্মকর্তা নজরুল বলেন, “সংসার করা ইউসুফের উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতে পাচার করার জন্যই তিনি বিয়ে করেন।”

নতুন যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন জানিয়ে নজরুল বলেন, “এই চক্রের দেশি বিদেশি সদস্যদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।”