এছাড়া সব গ্রেডে অনগ্রসর নাগরিকদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Published : 30 Dec 2024, 09:50 PM
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন ফি নতুন করে নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
সোমবার থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় জানিয়ে বিভাগের প্রবিধি-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আছিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নবম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।”
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিসিএস ব্যতীত নন-ক্যাডার পদ এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন করপোরেশনের বিভিন্ন গ্রেডভুক্ত পদের নিয়োগ পরীক্ষা ফি শর্তসাপেক্ষে নিম্নরূপভাবে নির্দেশক্রমে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।”
ওই প্রজ্ঞাপনে নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব (নন-ক্যাডার) পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেডে ২০০ টাকা, ১১ ও ১২ তম গ্রেডে ১৫০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬ তম গ্রেডে ১০০ টাকা, ১৭ থেকে ২০ তম গ্রেডে ৫০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া সব গ্রেডে অনগ্রসর নাগরিকদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনে বেশ কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমেও অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি নেওয়া যাবে এবং সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ফি বাবদ নেওয়া টাকার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে দেওয়া যাবে এবং কমিশন হিসাবে পাওয়া টাকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে আদায় করা যাবে।
১৩-১৬ গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ নির্ধারিত ১০০ টাকার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ টাকা পর্যন্ত টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে কমিশন হিসেবে দেওয়া যাবে এবং ওই ১০ টাকার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট হিসাবে আদায় করা যাবে অর্থাৎ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ হবে ১১২ (১০০+১০+১.৫) টাকা।
শর্ত হিসাবে আরও বলা হয়েছে, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ গ্রহণের পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠান চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওই টাকা নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।
অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে 'পরীক্ষা ফি' বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারে এ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে।
পরীক্ষা ফি বাবদ আদায় করা টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।
এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ‘১- প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অংক বিশিষ্ট)- পরিচালনা কোড (চার অংক বিশিষ্ট)-অর্থনৈতিক কোড (২০৩১)’ এ জমা করতে হবে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর বিধি ৯ এর উপবিধি ৪ (ক) সংশোধন করে বিসিএস পরীক্ষার সাধারণ প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৭০০ টাকা আবেদন ফি ২০০ টাকা করা হয়। ওইদিন জারি করা প্রজ্ঞাপনে, বিধি ৯ এর উপবিধি ৪ (খ) সংশোধন করে ‘অনাগ্রসর’ জনগোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি ৫০ টাকাও করা হয়েছিল।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়, বিসিএস ও ব্যাংকসহ সব ধরনের সরকারি চাকরির পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।