সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করলেও পরবর্তী সরকারপ্রধান নিয়োগ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের কথা। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ায় সেই সুযোগ নেই।
Published : 07 Aug 2024, 10:28 PM
সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর নির্বাচিত এক সরকার থেকে আরেক সরকারে যাওয়ার বিধানই রয়েছে সংবিধানে।
গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারবিহীন এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায়, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারত যাত্রার খবরের মধ্যে সেদিন বিকালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আলোচনায় যাওয়ার কথা বলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সেদিন যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদেরকে নিয়ে বঙ্গভবনে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। সেখানে ছিলেন কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিও।
পরদিন এই মোর্চার নেতারা আলাদাভাবে বঙ্গভবনে যান, তাদের বৈঠকে ছিলেন তিন বাহিনী প্রধানও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলও, যিনি আগের দিনের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন।
তার আগেই ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চান।
দীর্ঘ সময়ের আলোচনার পর এই দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান রাষ্ট্রপতি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় এই সরকার গঠন হবে, সেটি খোলাসা করা হয়নি।
ছাত্র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যৌথ ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা একটা এক্সট্রাঅর্ডিনারি সিচুয়েশনের মধ্যে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এক্সট্রাঅর্ডিনারি সিচুয়েশনে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এটাকে বৈধতা দেওয়ার সাংবিধানিক রীতি আছে, নিয়ম আছে- সেটা অনুসরণ করা হবে।”
এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, সেটি নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন আছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ দিনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ নিয়ে কথা বলবেন।
তবে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বললেও ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেননি।
আবার সমন্বয়কদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে আসিফ নজরুল বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দিয়ে এখনই কিছু ঠিক করা হয়নি।”
আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোট আয়োজনের বিধান রয়েছে। কোনো কারণে সংসদ আগে ভেঙে গেলে পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। যদি দৈব-দুর্বিপাকে নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আরও ৯০ দিন সময় নেওয়া যায়।
আগের অন্তর্বর্তী সরকার কোন বিধানে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় হয়েছিল তিন দশকেরও বেশি সময় আগে, আরেক সংকটময় সময়ে।
সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাকে সরকারের প্রধান করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের ওই সময়ে প্রথমে উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করলে সাহাবুদ্দীন আহমদ উপরাষ্ট্রপতি হন। এরপর রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করলে সে পদে বসেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন।
তার অধীনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বিএনপি বিরোধীদের বর্জনের মধ্য দলীয় সরকারের অধীনে ষষ্ট জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে। এরপর বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন হয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় নির্বাচন অনেকটা গ্রহণযোগ্য হলেও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়েই বাঁধে বিপত্তি।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সে সময়ের সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন।
পরে ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে আরেকটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়। তবে এই সরকার ক্ষমতায় থাকে প্রায় দুই বছর।
সরকারের সেই বাড়তি মেয়াদের বৈধতা দেওয়া হয় ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটির’ কথা বলে।
ওই সময়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার সময় নতুন দল গঠন করে রাজনীতিতে নামার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকেও। দলের প্রস্তাবিত নাম ছিল নাগরিক শক্তি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সেই দল আর গঠন করেননি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২৬৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।
২০১১ সালে এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছরের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে নবম সংসদ।
সেই সংশোধনীর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও তার মিত্ররা। ২০১৮ সালে তারা ভোট এলেও সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ তোলে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকারে অধীনে নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনও বর্জন করে বিরোধীরা।
টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের সপ্তম মাসে নজিরবিহীন একটি গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আর রইল না।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: কী বলে সংবিধান
সংবিধানের ৫৭ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি-
(ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন; অথবা
(খ) তিনি সংসদ-সদস্য না থাকেন।
৫৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ বা সংসদ ভেঙে দিতে লিখিত ভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিলে রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। কোনো দৈব দুর্বিপাকে সেটা করা না গেলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
৫৭ (৩) অনুচ্ছেদ আবার বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও তার উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। কারণ, সরকার ব্যবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী বলতে কিছু নেই।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এবং এরপর সংসদ ভেঙে যাওয়ায় সরকারপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে সংবিধানের বিধান মানার সুযোগ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়েছেন, এটি জানায়নি কেউ।
সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপ্রধান সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদকে ব্যবহার করেছেন।
এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ‘বিবেচনা করতে পারার ক্ষমতা বা অন্তর্নিহিত ক্ষমতা’ প্রয়োগ করে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
ফলে ১৯৯০ ও ২০০৭ সালের মত সংবিধানের বিধানের বাইরে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ ফিরে এসেছে।
সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
কোন প্রক্রিয়া এই সরকার হতে পারে, এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আরেক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, “পৃথিবীর দেশে দেশে যখন গণ অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়, তখন নানা রকম সংকট দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে সংবিধান বা প্রচলিত আইন ও ব্যবস্থার বাইরে অনেক কিছু করা হয়ে থাকে। যুক্তিটা হচ্ছে, ‘মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়’।
“১৯৯১ সালেও এরশাদের পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও তার প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে আসা পরবর্তীতে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধ করা হয়েছিল।”
বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে তাড়াতাড়ি দেশত্যাগ করেছেন। এরপর নানা জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ ও মানুষ হত্যার কারণে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে।
“দেশে রাষ্ট্রপতি থাকলেও সাংবিধানিক এবং শাসনতান্ত্রিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। কেননা, এখনো নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়নি, নতুন আইজিপি নিয়োগ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে রদবদল হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন।”
২০০৭ সালের মতো করে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার দিকে আগানো হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে বিএনপি নেতাদের কথায়।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিকগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেবেন।
“সেটা ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মত হতে পারে, যেটাকে পরবর্তী সরকার এসে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দেবে।”
সংবিধান স্থগিত হলে কী হবে
এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধান স্থগিত করার কোনো আদেশ আসেনি। আর সংবিধান স্থগিত না হলে নতুন সরকারের জন্য সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েই যায়।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে দাবি, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষে এই সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা প্রকাশের আগে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সমন্বয়ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু একটা অভ্যুত্থান হয়েছে, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের সার্বিক শৃঙ্খলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন জরুরি। এখন সংবিধানের দোহাই দিলে চলবে না।
"আজকে সংবিধান সংশোধন ও প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি উঠেছে, এটা করতে তো সময় লাগবে। এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব নয়।"
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নির্ধারিত সময়ের বেশি হলে সংবিধান স্থগিত রাখতে হবে কি না, সে বিষয়েও আলোচনা আছে।
সংবিধান স্থগিত বা সাংবিধানিক শাসনের বিরুদ্ধে গেলে সংবিধানে কঠোর শাস্তির বিধান করা হয় পঞ্চদশ সংশোধনীতে।
৭ক (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক পন্থায়
ক. এই সংবিধান বা তার কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করলে বা তা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করলে;
বা
(খ) এই সংবিধান বা তার কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করলে বা তা করার উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করলে-
এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
৭ক (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষীদের প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ড হবে।
বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।