গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূইত সেরায়া আলী মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাহতানি মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাহতানি মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) দেশগুলোর এক হয়ে কাজ করা উচিত।

এ বিষয়ে কাতারের রাষ্ট্রদূত আল-কাহতানি বলেন, কাতার চলতি বছরে তাদের জাতীয় দিবস (১৮ ডিসেম্বর ) উদযাপন করেনি। ওই উদযাপনের জন্য বরাদ্দ ৫০ মিলিয়ন ডলার গাজার জনগণের জন্য দেওয়া হয়েছে।

এ সময় শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশ থেকে শুকনো খাবার, কাপড়সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর কথা বলেন।

বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ফিলিস্তিনের যেসব চিকিৎসক বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করেছে, তারা যেন সংঘাতকালীন সময়েও মানুষের সেবা করতে পারে, সে জন্য এখানে তাদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এই চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতে কাজ করছে।“

কাতারের রাষ্ট্রদূত আল-জাজিরার কথা তুলে ধরে বলেন, বিশ্বের সামনে গাজা পরিস্থিতি তুলে ধরতে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যম নিবিড়ভাবে কাজ করেছে চলেছে।

গাজা ইস্যুতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

কাতারের রাষ্ট্রদূত আগামী বছরের ৪-৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) অংশগ্রহণ করতে একটি আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন।

আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ জয় লাভ করলে তিনি এই প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উদ্যোগে প্রতি দুই বছর পর পর এই প্রদর্শনী হয়।

২০২৪ সালে কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “কাতারের আমিরকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।“

কোভিড মহামারীর সময় ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তা গ্রহণ করেন কাতারের আমির।

অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন।