এ দিন ট্র্যাভেল পাস ইস্যু করা হয় ৭০৪টি।
Published : 02 Dec 2024, 10:46 PM
ট্র্যাভেল পাস চালু হওয়ার দ্বিতীয় দিনে সেন্ট মার্টিনে গিয়েছেন ৬৪৪ পর্যটক।
এ নিয়ে গত দুই দিনে ১ হাজার ২৯৭ জন পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ভ্রমণে গেলেন।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন বার আউলিয়া জাহাজে ৬৪৪ পর্যটকের সঙ্গে ৩৭ জন স্থানীয় বাসিন্দাও কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছান।
এতে বলা হয়, ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপ থেকে ট্র্যাভেল পাস সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাহাজে আরোহনের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক জমা রাখা হচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পর্যটকদের বিতরণ করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ।
এর আগে রোববার এবারের পর্যটন মৌসুমে প্রথমবারের মত ট্র্যাভেল পাস নিয়ে ৬৫৩ জন পর্যটক নিয়ে প্রবাল দ্বীপটিতে যায় বার আউলিয়া জাহাজ।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রতিবেশের সুরক্ষায় পর্যটক সীমিত করাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপটিতে পর্যটকের বিচরণ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ হাজার পর্যটক প্রতিদিন যেতে পারবেন, রাতেও থাকতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারিতে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না, তখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এর আগে বিগত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ইনানী সৈকতে স্থাপিত নৌ-জেটি ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন হত।
তবে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ইনানী জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখান থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।