”জনগণকে জানাতে হবে শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।"
Published : 23 Apr 2025, 02:33 PM
শব্দদূষণ রোধে উচ্চশব্দের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, "যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা হয়, তেমনি শব্দদূষণ রোধে আমাদের লাউড কালচারের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।“
বুধবার আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে এক কর্মশালায় রিজওয়ানা কথা বলছিলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ এ পরমার্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
রিজওয়ানা বলেন, "রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন, এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে।“
উপদেষ্টার কথায়, আচরণ পরিবর্তনের জন্য ‘গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি’।
বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ‘নীরব এলাকাতে’ শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“একইসাথে, জনগণকে জানাতে হবে শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।"
শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, "প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে, তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।"
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বাস্তবসম্মত পরামর্শ উঠে এসেছে, যা প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।