Published : 29 Oct 2024, 07:13 PM
সম্প্রতি দেশজুড়ে অতিবৃষ্টি ও বিভিন্ন জেলায় আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে তিন মহানগরীর ৪৫টি স্থানে ওএমএসের কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীর ২০টি স্থানে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু হয়।
পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের ভিত্তিতে ১৮ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীতে আরও ১০টি স্থান বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে রাজধানীর খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালশি, কামরাঙ্গীরচর, গাবতলী, হাজারীবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠাল বাগান, রায়ের বাজার, পলাশি মোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া এভিনিউ ও বিএডিসিসহ (৪টি) মোট ৩০টি স্থানে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি ২২ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার থেকে আরও ৫টি পয়েন্ট বাড়ানোর তথ্য দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন এই সংস্থার তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেইট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও ফ্রি পোর্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি চলমান আছে।
এছাড়া, খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে সোমবার কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পটল, পেঁপে, করলা, কচু, শসা, লাউসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতারা এসব স্থান থেকে ১ ডজন ডিম ১১০ টাকা, আলু কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা পেপে ১৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ১৫ টাকা, কচু ৩০ টাকা এবং প্রতিটি লাউ ২০ টাকায় কিনতে পারছেন।
সপ্তাহের সাত দিনই এই কার্যক্রম চালু আছে।
সব গ্রাহকই যেন পণ্য পায় তা নিশ্চিত করতে প্যাকেজ আকারে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, একই সাথে সব পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয়সীমাও উল্লেখ করা হচ্ছে।
কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর বলছে, তিন মহানগরীতে মোট ৪৫টি পয়েন্টে দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার নিম্নআয়ের মানুষ এসব পণ্য কিনতে পারছেন।