'বস্ত্রখাতে সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে'

দেশের বস্ত্রখাতের জন্য রপ্তানি সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2011, 09:36 AM
Updated : 15 June 2011, 09:36 AM
ঢাকা, জুন ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশের বস্ত্রখাতের জন্য রপ্তানি সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার সচিবালয়ে তৈরি পোশাক খাতের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওই তিন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বস্ত্র খাতের (টেক্সটাইল, স্পিনিং, উইভিং ও ফেব্রিক্স) ওপর প্রণোদনা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানান। এছাড়া বাজেটে রপ্তানি মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তা কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানান উদ্যোক্তারা।
বৈঠকের পর মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, "বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা বলেছেন, তারা এক সময় রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পেতেন। এটা এখন ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাকে তারা ১৫ শতাংশ করতে বলেছেন।"
বস্ত্র খাতের সমস্যাকে খুব 'জটিল' অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, "তাদের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভা ও প্রধানমন্ত্রী নিজেই খুবই আ্যওয়ার আছেন। তবে তাদের প্রণোদনার বিষয়ে আমি কোনও প্রতিশ্র"তি দিতে পারিনি। দেখা যাক কী করতে পারি," বলেন অর্থমন্ত্রী।
রপ্তানি খাতে সহায়তার বিষয়ে মুহিত বলেন, "এটা বাজেটের বাইরেও করতে পারি। আমার তো থোক পয়সা আছে। এটা এমন কোনো সমস্যা না।"
তবে উৎসে আয়কর কমানোর বিষয়টি '২৯ তারিখেই' জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার কথা।
রপ্তানি সহায়তা বাড়ানো হচ্ছে কী না জানতে চাইলে বৈঠক শেষে বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন সাংবাদিকদের বলেন, "বাড়ানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্র"তি দেননি। তবে বাড়ানো হবে বলে আমরা আশাবাদী।"
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার আগে হোটেল রূপসী বাংলায় বিজিএমইএ, বিটিএমএ ও বিকেএমইএ এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে।
এ সময় সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন বিজিএমইএর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।
এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, উৎসে আয়কর বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে নিয়ে ২০০৯-১০ অর্থবছরের মতো দশমিক ২৫ শতাংশ করা; বিকল্প নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ করা এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত তা বহাল রাখা; প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তাবায়ন করা; তুলার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য পলিয়েস্টার ও ভিসকস স্ট্যাপল ফাইবার, এক্রলিক টো এবং টপস, পেট-চিপস ও চিপসের শুল্ক ও কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা।
এছাড়া বাড়ি ভাড়ার ওপর আরোপিত ৯ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ২২ টাকায় পুণর্নির্ধারণ, গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল খাতকে কর অবকাশ সুবিধার আওতাভুক্ত করা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন করা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, তার একটি টাকাও তারা পায়নি। আইনকানুন ও রেগুলেশনের কারণে তারা এটা পায়নি। এ বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি নিয়েছি, কিছু একটা করবো।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরবি/জেকে/২০৪০ ঘ.