জেলা প্রশাসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিহ্নিত ৩১৬ জন দখলদার নদীর যথেচ্ছা ব্যবহার করে চলেছেন।
Published : 27 Apr 2025, 11:06 PM
নেত্রকোনার মগড়া নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে একগুচ্ছ আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
নদীর মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, দখলকারীর তালিকা করে উচ্ছেদ, পৌরসভা ও গৃহস্থালির পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রোববার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই রিট আবেদনটি করেছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছে।
এই আইনজীবী বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার প্রশাসকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদেশে দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নেত্রকোণা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আদালতের আদেশ প্রতিপালন করার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছয় মাস পর হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বেলার দাখিল করা রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নেত্রকোণা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নে ধলাই ও কুক্কাখালী নদী মিলিত হয়ে উৎপন্ন মগড়া নদী প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে নাব্যতা হারিয়েছে। অন্যদিকে দখল আর দূষণে এ নদী প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নদীতে চিহ্নিত ৩১৬ জন দখলদার নদীর যথেচ্ছা ব্যবহার করে চলেছেন। কচুরিপানা, গৃহস্থালি বর্জ্য পৌরসভার পয়ঃবর্জ্যের মাধ্যমে নদী প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একই কারণে নদীর পানি ফসল আবাদে উপযোগিতা হারিয়েছে।
মগড়া নদী দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যর্থতা সংবিধান ও প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন হওয়ায় কেন তা বিধিবহির্ভূত, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের রুলে।