অভিযোগ অনুসন্ধান করে তাদের নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
Published : 01 Jan 2025, 08:30 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের সদ্য সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন কর্মকর্তার একটি দলকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তাধীন মামলার আসামির কাছ থেকে ‘আর্থিক সুবিধা’ গ্রহণ, ‘জাল জালিয়াতির’ মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেওয়া, বড় দুটি টেলিকম অপারেটরের কাছ থেকে ‘শত শত কোটি টাকা ঘুষ’ নিয়ে সেই অর্থ ‘বিদেশে পাচার করে’ বিভিন্ন দেশে একাধিক বাড়ি নির্মাণসহ ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দুদকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞাকে প্রধান করে রোববার তিন সদস্যর ওই দল গঠন করা হয়।
দলের বাকি দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম ও উপসহকারী পরচিালক মো. জাকির হোসেন।
দুদকের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “বিধি মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধানকার্য সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাদের বলা হয়েছে।”
দুদকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কমিশনার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে দুদকের কোনো সাবেক বা বর্তমান কমিশনারকে দুর্নীতি বা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জহুরুলের পাসপোর্ট বাতিল করে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সাবেক জেলা ও দায়রা জজ জহুরুল হক বিডিআর হত্যা মামলার বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিটিআরসির কমিশনার এবং পরে চেয়ারম্যান করে।
২০২১ সালের ১০ মার্চ কমিশনার হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যোগ দেন জহুরুল হক। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ৩০ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন।
পুরনো খবর-