২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
Published : 25 Nov 2024, 05:30 PM
ঢাকার আশুলিয়ায় এনজিওকর্মী সাবিনা ইয়াসমিন হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জে এম ফরিদুর রহমান বলেন, “রায়ে তিনজন আসামির দণ্ড হয়েছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বাকি আসামিদেরও সাজা হওয়া উচিত ছিল।”
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজিয়া খাতুন ও আশরাফুল ইসলাম মানিক। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দণ্ডবিধির ২০১ ধারার অপরাধের জন্য তাদের প্রত্যেককে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলার আরেক আসামি মোসলেম মিয়াকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানা পরিশোধ না করলে তাকে আরও পাঁচ মাস কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামি আশরাফুল ইসলাম মানিক ও মোসলেম আশা সমিতি থেকে কিস্তি নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেননি। এজন্য তারা আশা কর্মী সাবিনা কিস্তি চাইতে গেলে তাকে হত্যা এবং তার কাছে থাকা সমিতির বিভিন্ন সদস্যদের টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন।
২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে সাবিনা আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়ায় কিস্তির টাকা আনতে গেলে আসামি মোসলেম, তার স্ত্রী রাজিয়া, আশরাফুল ইসলাম মানিক এবং তার স্ত্রী নার্গিস তাকে বাসার ভিতরে কৌশলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুম করেন।
ঘটনার দুইদিন পর ১৬ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন আশা এনজিও'র বিকেএসপি শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদ।
মামলার তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল আলম।
পরের বছরের ২৬ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ৬ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।