“ক্যাডার পদগুলোতে নিয়োগের জন্য একটি ও ননক্যাডার অংশে নিয়োগের জন্য অপর একটি অংশ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিটিং রেজুলেশন হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
Published : 27 Apr 2025, 09:16 PM
সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই দুটি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার বিকালে ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, “পিএসসি নিয়ে সর্বশেষ কেবিনেট মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রিতা, অনিয়ম এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুইটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব রহিমা আক্তার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পিএসসিকে দুই ভাগ করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি।
“ক্যাডার পদগুলোতে নিয়োগের জন্য একটি ও ননক্যাডার অংশে নিয়োগের জন্য অপর একটি অংশ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিটিং রেজুলেশন হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
পিএসসি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনজন চাকরিপ্রত্যাশী অনশনও শুরু করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন পিএসসি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ওই আন্দোলনের বিষয় টেনে ফেইসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, “...আর এই আন্দোলন শুরু হবার পরপরই যারা দায়িত্বে আছে তাদের কাছে ছাত্রদের দাবিগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গত সোমবার আন্দোলনকারীদের একটা টিমের সঙ্গে বসার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে সেটা হয়ে উঠেনি। তবে ছাত্রদের দাবিগুলো আমার পক্ষ থেকে কনসার্ন অথরিটিকে বারবার পাঠানো হয়েছে।
“বেকারত্ব নিরসনে এখন পর্যন্ত একক মন্ত্রণালয় হিসেবে পুলিশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় থেকে সর্বোচ্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গিয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। সামনের কয়েক মাসে আরও অন্তত ১০ হাজার নিয়োগ হবে। পিএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথবা ডিক্টেট করার অথরিটি আমার নেই। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব করছি, সামনেও করে যাব, ইনশাআল্লাহ।”
ছাত্রদের বিষয়গুলো সবসময় তার কাছে অগ্রাধিকারের উল্লেখ করে উপদেষ্টা আসিফ আরও লেখেন, “যত কাজই থাকুক না কেন; ছাত্রদের বিষয়গুলো সবসময়ই আমার জন্য প্রথম প্রায়োরিটি থাকে। কুয়েটেও আন্দোলন চরম পর্যায়ে আসার প্রায় ১০ দিন আগেই কুয়েটের একটা প্রতিনিধিদল বাসায় এসেছিল। তাদের দাবি, স্মারকলিপিটি পরদিনই শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। নিয়মিত আপডেট রেখেছি, দাবি মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুকে না বললেই যে কাজ হচ্ছে না, এটা ধরে নেওয়া উচিত না।
“টিএসসিতে আন্দোলনরত প্রায় অনেকেই আমার পরিচিত। রাত ৪/৫ টায় সেখানে যাওয়া কতটা শোভন হবে, তা ভেবে যাইনি। এছাড়া শহীদ জসিম ভাইয়ের মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে গিয়েছিলাম পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। ভোর ৫টায় তেমন কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছি। তবে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জামিনের খবরটি সঠিক নয়। এই কালপ্রিটদের সিআইডিতে রাখা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।”
অফিসের কাজ শেষে রাজু ভাস্কর্যে অনশনরতদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন জানিয়ে উপদেষ্টা লিখেছেন, “এটা মনে রাখতে হবে যে, পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দাবিগুলো ইতোমধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে আবারও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”