পাচারকারীদের নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টার মধ্যে মিয়ানমার উপকূল থেকে উদ্ধার দেড়শ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছে বিজিবি।
Published : 08 Jun 2015, 02:07 PM
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের ঘুমধুম ও মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকে পর মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) এই বাংলাদেশিদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলমের নেতৃত্বে দশ সদস্যের যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল পতাকা বৈঠকে অংশ নেন, তাতে পুলিশ, ইমিগ্রেশন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষে ছিলেন বিজিপি, দেশটির ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও স্থনীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
২১ মে মিয়ানমার উপকূলে একটি নৌকা থেকে ২০৮ জনকে উদ্ধারের পর এর মধ্যে ২০০ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে দাবি করে মিয়ানমার।
কিন্তু মিয়ানমারের পাঠানো তালিকা ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘অপূর্ণাঙ্গ’ উল্লেখ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়।
কর্নেল খালেকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত শনিবার আরও তথ্যসহ নতুন তালিকা পাঠায় মিয়ানমার। তালিকাটি যাচাই করে দেড়শ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে শনাক্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের প্রাথমিকভাবে নাইক্ষ্যছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে পুলিশে হস্তান্তরের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, এই দেড়শ জনের মধ্যে ১৭ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫ জন নরসিংদীর এবং ৩৪ জন কক্সবাজার জেলার।
মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী ২৯ মে সাগর থেকে আরও ৭২৭ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যেও বাংলাদেশি রয়েছে বলেও দাবি করছে মিয়ানমার।
এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে বলে জানান মো. খালেকুজ্জামান।