সাড়ে চার বছর ধরে বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়াদ শেষের চার মাস আগে কর্ণফুলী নদী খননের কথা বললেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলম।
Published : 19 Feb 2015, 10:49 PM
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীরর স্লুইস গেটগুলোর আয়তন বৃদ্ধিরও দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ৫৬তম সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এসব দাবি জানান মেয়র।
সভায় মনজুর আলম বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা হ্রাস করতে পুরাতন স্লুইস গেটগুলোর আয়তন বৃদ্ধি এবং বেড়িবাঁধ এলাকায় ১০টি নতুন স্লুইস গেট নির্মাণ করতে হবে।
“কর্ণফুলী নদীর দুই পাড় ভরাট করে স্থাপনা তৈরির কারণে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। নদীর নাব্যতা রক্ষায় নতুন করে ক্যাপিটাল ড্রেজিং অবিলম্বে শুরু করতে হবে। তা না হলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।”
২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জলাবদ্ধতা নিরসনকে প্রধান প্রতিশ্রুতি করে ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন মনজুর আলম।
দায়িত্ব গ্রহণের পর জলাবব্ধতা নিরসনে প্রতিবছর নগরীর খাল-নালার মাটি কাটার ও আর্বজনা অপসারণের কাজ করেন মেয়র। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে এ উপায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজের অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করেন তিনি।
উল্লেখ্য সিসিসির প্রথম সাধারণ সভা হয় ২০১০ সালের ২৬ জুলাই। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আগামী জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবারের সভায় মেয়র মনজুর আলম বলেন, মেয়াদ প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। নির্বাচন কমিশন যথা নিয়মে নির্বাচন করতে পারেন।
“২০১০ সালে দেড়শ কোটি টাকার দায়-দেনা নিয়ে শুরু করেছিলঅম। নয়শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করে এখন ৮০ কোটি টাকা দেনা আছে। চলতি মেয়াদেই সব দায়-দেনা শোধ সম্ভব হবে।”
সভায় উপস্থিত এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাকি সময়ে কি কি কাজ করবেন। তার কোনো নির্দেশনা মেয়র দেননি। নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
“তবে নির্বাচন নিয়ে মেয়র নিজের ভাবনার বিষয়ে কিছু সভায় বলেননি। দীর্ঘ দিন পর তিনি সারাদিন অফিস করেছেন।”
তবে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ শুরুর পর থেকে কার্যালয়ে অফিস করেন না বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেয়র। শুধু সাধারণ সভায় সিসিসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে আসেন মনজুর আলম।