৫ জানুয়ারির বর্ষপূর্তির দিন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ২৯৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Published : 06 Jan 2015, 08:12 PM
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরীর আদালত এ নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোতোয়ালী থানায় করা মামলায় ২৯৭ জনকে আদালত হাজির করা হয়।
“আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।”
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হকও আছেন।
সোমবার নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করা হয়।
অভিযোগে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, উত্তর জেলার আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় জামায়াত-বিএনপির অন্তত ৫০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এদিকে সোমবার বিকালে নগরীর চকবাজার এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে চকবাজার থানার জামায়াত-শিবিরের ১৫০ থেকে ২০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলাটি করা হয়। ওই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
চকবাজার থানার ওসি আতিক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার পর গিয়ে কাউকে পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”
বিকাল পৌনে ৪টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এরপর নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনসহ সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং বিজয় মেলার কয়েকটি দোকানের কাঠামো পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া রালখান বাজার, ওয়াসা ও চট্টেশ্বরী মোড়ে বেশ কিছু যানবাহন ও বিভিন্ন স্থাপনার কাঁচ ভাংচুর করে সমাবেশকারীরা।
এরপর সন্ধ্যার দিকে সমাবেশ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত দুটি ট্রাকের নিচ থেকে আটটি পেট্রোল বোমা ও একটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।