তিনি গত তিন দিন ধরে দিল্লির এইচবিএস ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্স হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
শনিবার সকালে এই সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর প্রথম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেন তার পূত্রবধূ সাজিয়া জহির।
দিল্লিতে অবস্থানরত এই সাংবাদিকের ছেলের হাসিব জহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, “ফাদার ইজ নো মোর (তিনি বেঁচে নেই)।”
তবে হাসিব একইসঙ্গে বলেন, চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার বাবার মৃত্যুর ঘোষণা এখনো দেননি।
“ভারতের আইন অনুযায়ী মৃত্যু ঘোষণার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।”
গত ১২ জুন জহিরুল হক লাইফ সাপোর্টে যান বলে তার মেয়ে হামিম জহির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তিনিও নয়া দিল্লিতে রয়েছেন।
৭১ বছর বয়সি জহিরুল হককে গত ৫ জুন ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি নেয়া হয়েছিল। জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন জহিরুল হককে তখন হাসপাতালে দেখে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া জহিরুল হক ছাত্রজীবনেই ক্যামেরা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
পাকিস্তান আমলে দৈনিক আজাদের মাধ্যমে আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন জহিরুল হক। এরপর কাজ করেন বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ ও বাংলাদেশ টাইমসে।
সর্বশেষ কলকাতার বাংলা দৈনিক আজকালের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন জহিরুল হক।
তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। এই সংগঠনের সভাপতি পদে একাধিকবার ছিলেন তিনি।