নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শীষ মনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
Published : 03 May 2014, 08:10 PM
শনিবার দুপুরে শীষকে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০দিনের রিমাণ্ড চাওয়া হলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক দু’দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
আর শীষ মনোয়ারের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন বলেও জানান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
এরপর শুক্রবার রাতে মিরপুর এলাকা থেকে শীষ মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিজের প্রতিষ্ঠানের একজনকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।”
সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ শীষ মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করলেও পরিবার বা সহকর্মীদের কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন না।
সবুজের ভাই আলী আকবর মিলটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় শীষ মনোয়ারকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে- তা তিনি এবং তার পরিবারের কেউ জানেন না।”
এবিষয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিপণন বিভাগের প্রধান মিল্টন খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সবুজ অপহরণের ঘটনায় শীষ মনোয়ারকে কেন গ্রেপ্তার করা হল তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
“সবুজ তার বন্ধুদের নিয়ে একটি সমিতি গড়ে তুলে ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনছিল। সে সমিতির ব্যাপারে প্রায়ই কথা বলত।”
মিল্টনের দাবি, সমিতি সম্পর্কিত কোনো দ্বন্দ্বের জের ধরেই হয়তো সবুজকে অপহরণ করা হয়েছে।
শীষের সঙ্গে সবুজের কোনো দ্বন্দ্ব থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে মিল্টন বলেন, “শেষদিন পর্যন্ত শীষের সঙ্গে সবুজের দারুণ সম্পর্ক ছিল। ওদের বোঝাপড়া দারুণ ছিল।”
মিল্টন জানান, সবুজ জাজ মাল্টিমিডিয়াতে তিন বছর ধরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন।
অপহরণের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ৬ নং সেকশনের বাসা থেকে বেরিয়ে মগবাজারের জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসের দিকে রওনা হন সবুজ। তার সঙ্গে ছিল ৩টি মোবাইল ফোন থাকলেও পরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সবগুলোই বন্ধ পাওয়া যায়। অফিসে খোঁজ নিয়ে তার বাবা জানতে পারেন, সবুজ অফিসে যায়নি।
এরপর ২৭ এপ্রিল সবুজের একটি মোবাইল নম্বর থেকে তারা বাবার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজে সবুজের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দাবি করে তা একটি ভারতীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে ভারতীয় ওই ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।