সালাউদ্দিন ও মিজানের মাথার দাম বাড়ল

পুলিশ হত্যা করে প্রিজন ভ্যান থেকে তিন জঙ্গি ছিনতাই হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও দুই জনের খোঁজ না পেয়ে তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কারের অংক বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2014, 06:36 AM
Updated : 17 August 2018, 08:22 AM

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান সোমবার বেলা সোয়া ১২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮) ও মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানের সন্ধান এখনো মেলেনি।

“কেউ তাদের ধরিয়ে দিলে অথবা সন্ধান দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ বিভাগ।”

এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন জঙ্গি ছিনতাই হওয়ার পর তাদের প্রত্যেকের জন্য দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর।  

ওই তিনজনের মধ্যে জেএমবির শুরা সদস্য রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদকে (৩৫) রোববার দুপুরেই টাঙ্গাইলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি। 

রাকিবকে ধরতে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহাফুজুল হক নুরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা রাকিবকে জনতার সহায়তায় ধরেছি। পুরস্কারের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেব।”

রোবাবর সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে ও গুলি করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন সালেহীন, রাকিব ও মিজানকে (৩৫) ছিনিয়ে নেয়া হয়। এই তিনজনের মধ্যে প্রথম দুইজন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। আর মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।  

ওই হামলায় প্রিজন ভ্যানে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল ইসলাম (৩০) নিহত হন, আহত হন আরো দুইজন পুলিশ সদস্য।

ত্রিশাল থেকে পালানোর সময় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাকিবকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য দাড়ি কামিয়ে ফেললেও তার গলা, হাতে ও পায়ে ডাণ্ডাবেরির দাগ দেখে পুলিশ তাকে সনাক্ত করে।

এরপর গভীর রাতে পুলিশ পলাতক বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য রাকিবকে নিয়ে অভিযানে বের হলে মির্জাপুর উপজেলার বেলতৈল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন বলে টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান।

ত্রিশালের ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জেএমবি সদস্যসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতেই দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

ত্রিশাল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে ও পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মামলায়।