জাতিসংঘ দূতের বিদায়ের পর প্রথম বৈঠকে দুই প্রধান দলের শীর্ষ নেতারা সংকট নিরসনে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মুখপাত্র।
Published : 13 Dec 2013, 05:35 PM
শুক্রবার গুলশানে জাতিসংঘের একটি প্রকল্প কার্যালয়ে এই দুই দলের শীর্ষ আট নেতা প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আলোচনা হয়েছে। উনারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরাও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছি। এখন দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আমাদের পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করবো।”
এরপর প্রায় একই কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তিন দিন আলোচনা করেছি। আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। উনারাও তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা দলের নীতিনির্ধারণীয় ফোরামে আলোচনা করব।”
অতি শিগিগরিই তারা এই বিষয়ে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান ফখরুল।
তবে প্রস্তাবের বিষয়ে কোন পক্ষই মুখ খোলেনি।
আওয়ামী লীগের পক্ষে এই বৈঠকে আরো ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
আর বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মঈন খান এবং সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী।
গুলশানের ওই বাড়িতেই গত বুধবার সর্বশেষ বৈঠক করেন দুই দলের এই আট নেতা। সেদিন তাদের মধ্যস্থতায় ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো। আর বুধাবর ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকার।
ওই দিনই সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা ছাড়েন অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই প্রধান দলের দূরত্ব আরো বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে হরতাল-অবরোধে সহিংসতায় প্রাণহানির মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূতের এই সফরকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট এড়াতে শেষ সুযোগ হিসেবে দেখে আসছিলেন কূটনীতিকরা।
আলোচনা ফলোপ্রসু হয়েছে কিনা- দুই দলের মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন করা হলে কেউই এই প্রশ্নের জবাব দেননি।
জাতিসংঘের দূতের মাধ্যমে দুই দলের মধ্যে এ নিয়ে তিনদফা বৈঠক হলেও এবারই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে তারা কথা বললেন।