এবার ভোটারপ্রতি প্রার্থীর ব্যয় ৮ টাকা

দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রত্যেকে ভোটারের পেছনে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2013, 07:20 PM
Updated : 20 Nov 2013, 07:20 PM

বুধবার ইসি সচিবালয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী [৪৪বি, দফা ৩] এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

উপ সচিব (নির্বাচন পরিচালনা) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ এ তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এবার প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা উন্নীত করার পরিপ্রেক্ষিতে আরপিও’র বিধান অনুযায়ী ভোটার ব্যয় সর্বোচ্চ ৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।”

নবম সংসদে এ ব্যয় ৫ টাকা ছিল। ওই নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা ছিল ১৫ লাখ টাকা।

প্রার্থীর ব্যয়, জামানত, অনুদান ও মামলা ফি’র পরিমাণ বাড়িয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে-এর সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয় সংসদের শেষ অধিবেশনে।

৯ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি ভোটারের দশম সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটার রয়েছে ঢাকা-১৯ আসনে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৭ জন। সবচেয়ে কম ভোটার ঝালকাঠি-১ আসনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৪ জন।

এক্ষেত্রে ঝালকাঠি-১ আসনের প্রার্থীদের ব্যয় ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭২ টাকা। ভোটার বেশি হলেও [হিসাবে ৫০ লাখ টাকার বেশি] ঢাকা-১৯ আসনের প্রার্থীরা ২৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না।

ভোটারপ্রতি ব্যয়ের হিসাব যাই হোক না কেন, বড় নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। নিবন্ধিত দলের মনোনীত প্রার্থী হলে দলের অনুদানও এ হিসাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসির উপ সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, আসনভিত্তিক ভোটার অনুপাতে ৮ টাকা হারে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ ভোটার এলাকার জন্যে ২৫ লাখ টাকা। এরচেয়ে বেশি ভোটার হলেও ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।

তফসিল ঘোষণার পর ৩০০ আসনের নির্বাচনী ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান তিনি।

দশম সংসদে ১৩টি সংসদীয় আসনের ভোটার সংখ্যা ২ লাখ পর‌্যন্ত, ৪৪টি আসনের ভোটার সংখ্যা সর্বোচ্চ আড়াই লাখ, ৯৬টি আসনের ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ পর‌্যন্ত, সাড়ে তিন লাখ পর‌্যন্ত ভোটার রয়েছে ৭৮টি আসনে এবং সাড়ে তিন লাখের ওপরে ভোটার রয়েছে ৬৯টি।

নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর এজেন্ট এ টাকা খরচ করতে পারবে। এছাড়া প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কেউ মনোহরী দ্রব্য, ডাকটিকেট কেনা, টেলিফোন বিল ও অন্যান্য ছোটখাটো খাতে অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব কমিশনে দাখিল করতে হবে। এতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিল করার বিধান রয়েছে।