ষাট বছর বা তার বেশি বয়েসীদের জ্যেষ্ঠ নাগরিকের (সিনিয়র সিটিজেন) স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করেছে সরকার।
Published : 17 Nov 2013, 01:54 PM
প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য, আবাসন, যানবাহনে আসন সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে এই নীতিমালায়।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠবে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালার,২০১৩’ এর খসড়ায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, নীতিমালায় ৬০ বছর বয়েসীদের ‘প্রবীণ’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
“দেশে নাগরিকদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে প্রবীণের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রবীণদের কল্যাণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ নীতিমালা উপস্থাপন করেছে।”
প্রবীণ ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ‘মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্রমুক্ত, সুস্থ ও নিরপাদ’ জীবনের জন্যই এ উদ্যেগ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পরিচয়পত্র, স্বাস্থ্য কার্ড, প্রবীণ নিবাস, ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রযায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।
এছাড়া তাদের জন্য যানবাহনে আসন সংরক্ষণ ও কম দামে টিকেট সুবিধা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দরিদ্র জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য এই নীতিমালার আলোকে বিভিন্ন প্রকল্পও নেয়া হবে।
এছাড়া প্রবীণদের সহযোগিতায় বেসরকারি উদ্যেগকে উৎসাহিত করার বিষয়টিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই নীতিমালা বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি জাতীয় কমিটি করা হবে এবং প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে।
প্রবীণদের তলিকাভুক্ত করে তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করাই হবে এই কমিটির কাজ।