যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা কোনো আমন্ত্রণ ছাড়াই নয়া দিল্লি সফরে গিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
Published : 28 Oct 2013, 04:12 PM
নাম প্রকাশ না করে ভারতীয় এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সোমবার ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তারপরেও তিনি দিল্লি এসেছেন তার সরকারের সিদ্ধান্তে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছেন মজীনা।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা গত সপ্তাহে দিল্লিতে যান। তার আগে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। তার আগে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলের সঙ্গে আলোচনা করেন মজীনা।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের আলোচনায় বাংলাদেশে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ ফিরিয়ে আনা, সব দলের অংশগ্রহণে ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ‘চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবেলার দিকগুলো উঠে আসে বলে ইকোনোমিক টাইমস জানায়।
তবে আমন্ত্রণ ছাড়াই মজীনার আকস্মিক নয়া দিল্লি সফরে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আমন্ত্রণ ছাড়াই মজীনা কেন ভারত সফর করলেন? এভাবে তার দিল্লি যাওয়ার পেছনে কী কাজ করেছে? পঙ্কজ সরনের সঙ্গে তার বৈঠক কি আন্তরিক ছিল না?
এই দুই কূটনীতিকের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খুলছে না কোনো দূতাবাসই। তাদের মধ্যে কোনো মতভিন্নতা রয়েছে কি না এবং কিছু থেকে থাকলেও তারা কি এতটা তৎপর!
এর আগে মজীনা ঢাকায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে পঙ্কজ সরনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহী। তবে এ প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির মতভেদ রয়েছে বলে ভারতীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন।