ঝালকাঠীর কলেজছাত্র লিমন হোসেনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে র্যাবের বিরুদ্ধে করা তার মায়ের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর পুনরায় শুনানি দিন আবারও পিছিয়েছে।
Published : 09 Oct 2013, 03:24 PM
মামলা থেকে ছয় র্যাব সদস্যকে অব্যহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন খারিজের উপর পুনরায় শুনানির আবেদন করেন হেনোয়ারা বেগম। এ নিয়ে পঞ্চমবার শুনানির তারিখ পেছাল।
লিমনের মায়ের আইনজীবী আককাস সিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বুধবার সকালে মামলার ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন ।
বিচারক মো. শহীদুল্লাহ বকাউল আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৭ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ রাখে।
এ সময় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আককাস সিকদার বলেন, লিমনকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে হেনোয়ারা বেগম ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল ঝালকাঠীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ১৪ অগাস্ট রাজাপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদার র্যাব সদস্যদের নির্দোষ উল্লেখ করে দায় থেকে অব্যহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
হেনোয়ারা বেগম পুলিশের এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ অগাস্ট নারাজি দাখিল করেন। এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম তা খারিজ করে দেন। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হেনোয়ারা বেগম গত ১৯ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার গ্রামের কলেজছাত্র লিমন হোসেন র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারায়।
র্যাব লিমনকে এ ঘটনায় সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে এবং তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে রাজাপুর থানায় অস্ত্র ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে।
কিন্তু এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখিসহ সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি লিমনকে মামলা দুটি থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেয়।