এদিকে মঙ্গলবার সকালে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় আবারো তল্লাশি চালিয়ে আরো একটি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা বেলা সোয়া ১১টার দিকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন।
এই দলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল (সোমবার) যে কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, ওই ঘরেই গ্রেনেডটি পাওয়া গেছে।”
এর আগে সেমাবার তল্লাশি চালিয়ে ওই মাদ্রাসা থেকে তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ১৮ বোতল এসিড উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসার চার তলা ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে চারজন নগরীর দুটি বেসরকারি হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নেয়ার সময় সোমবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে একজন সোমবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকি তিনজনের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
পরে সোমবার বিকালে বিস্ফোরণস্থল পরীক্ষা করে পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসায় বিস্ফোরকের ‘বড় ধরনের মজুদ’ ছিল।
এরপর সন্ধ্যায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাতে গ্রেনেডসহ বিস্ফোরক এবং এসিড উদ্ধারের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করা হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো. শহীদল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার বিস্ফোরক ও এসিড উদ্ধারের ঘটনায় খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম নেওয়াজ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে।
এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলায় মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ‘আরো বহু’ লোককে আসামি করা হয়েছে।
ইজাহার ও হারুন ছাড়া আর যাদের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- বিস্ফোরণে আহত মো. হাবিব, সালমান, জুবায়ের ও নুরুন্নবী; রাতের তল্লাশীতে আটক মুনির হোসেন, তাফসির আহমেদ, আবদুল্লাহ মান্নান, মো. ইসহাক, হাবিবুর রহমান এবং মাদ্রাসার কম্পিউটার অপারেটর ইকবাল।
এদের মধ্যে হাবিব মঙ্গলবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
আর এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে ইজাহার ও হারুনকে।
এডিসি শহীদুল্লাহ জানান, সোমবার রাতে তল্লাশীর সময় আটক পাঁচজনকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম লালখানবাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালক। তিনি মুফতি ইজাহার নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিরও সভাপতি।