শনিবার সকাল ও দুপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন সড়ক অবরোধ, ভাংচুর ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক সংগ্রাম পরিষদের মুন্সীগঞ্জ জেলার আহবায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ জানান, পদন্নোতির কোটা ৩৩% থেকে ৫০% বাড়ানো এবং বেতন বৈষম্য দূর করা- এই দুই দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
এর সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সুপারভাইজার হিসাবে সংজ্ঞায়িত না করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বরে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-শিক্ষক সংগ্রাম পরিষদ ও শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুরে যান।
বগুড়া
বগুড়ায় কর্মসূচি চলার সময় সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাংচুরের কারণে রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সাজু মোহাম্মদ শাহজাদা জানান, বেলা ১২টার দিকে বগুড়া শহরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনে সড়ক অবরোধ করা হয়।
“তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।”
এ সময় বিক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারীরা সড়কের কয়েকটি বাস-অটোটেম্পু ভাংচুর করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
শেরপুর
শেরপুরেও পলিটেকনিক ইনস্টিটিটে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে।
শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের সময় ব্যাপক ভাংচুর এবং পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পালাটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহত চার ছাত্রকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানো গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।
শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল সালাহউদ্দিন সিকদার জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ৩০/৪০ জন পুলিশ আহত হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম সাদ্দাম জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট ছুড়লে শতাধিক ছাত্র আহত হয়। এ ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাগুরা
মাগুরায়ও বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইন্সটিটিউটের ছাত্ররা মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।