খুন করার কথা ‘স্বীকার’ করার পরেও নিহত পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে ঐশীকে রিমান্ডে নেয়ার যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
Published : 25 Aug 2013, 07:30 PM
“ঐশীর মানবাধিকার লুট হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার ওপর যে আচরণ করেছে তাতে ঐশীর জন্য ন্যূনতম মানবাধিকার দেখানো হয়নি।”
রোববার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন মিজানুর রহমান।
এ সময় তিনি র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে পা হারানো ঝালকাঠীর কলেজছাত্র লিমনের পঙ্গুত্বের দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে উল্লেখ করে বলেন, “রাষ্ট্রের কাছ থেকে তার ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে না পারার ব্যর্থতা মানবাধিকার কমিশনের রয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, আইন অনুষদের অধিকর্তা বিশ্বজিত চন্দ, আইন বিভাগের সভাপতি আহসানুল কবীর, আয়েশা সিদ্দীকা ও আনিসুর রহমান প্রমুখ।
গত ১৬ অগাস্ট ঢাকার চামেলীবাগে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের এসবির পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ঘর ছেড়ে যাওয়ায় তাদের মেয়ে ঐশীকে সন্দেহ করে পুলিশ। পরদিন ঐশী পুলিশের কাছে ধরা দেয়। পুলিশ আটক করে রনি ও শিশু গৃহকর্মী সুমিকে।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী ঐশী তার বাবা ও মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
তবে নিহত মাহফুজের ছোট ভাই এবং এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী মশিউর রহমান রুবেলের ধারণা, তার ভাই ও ভাবি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্য কোনো ‘রহস্য’ রয়েছে।
ঐশীকে রিমান্ডে পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বয়স প্রমাণের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেছে পুলিশ। তার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
ঐশীর স্কুলের রেকর্ড অনুযায়ী তার বয়স ১৮ বছরের কম। এই বয়সের কাউকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শিশু অধিকারের লঙ্ঘন বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
ঐশীর পাশাপাশি শিশু গৃহকর্মীকে সুমিকে রিমান্ডে নেয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।