‘ইউরো তো কেবল শুরু’, নকআউটের লড়াইয়ে নামার আগে মেমফিস

রোমানিয়া ম্যাচে এই ডাচ ফরোয়ার্ড দিতে চান কোচের আস্থার প্রতিদান।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্ব প্রত্যাশা অনুযায়ী কাটেনি নেদারল্যান্ডসের। কোনোমতে মিলেছে শেষ ষোলোর টিকেট। বিবর্ণ সেই অধ্যায় নিয়ে অবশ্য খুব বেশি ভাবতে চান না দলটির তারকা ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপাই। দলকে উজ্জীবিত করতে তিনি বললেন, ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই তো কেবল শুরু হলো।

এমন ভাবনা অবশ্য মেমফিসের একার নয়। কদিন আগে স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে যেমন বলেন, ‘শেষ ষোলোয় দেখা যাবে দলগুলোর আসল ফুটবল।’ কারণ, নকআউট পর্বে যে ভুলের কোনো সুযোগ নেই। সব দলই চাইবে নিজেদের উজাড় করে দিতে। তাই প্রতিটি লড়াইয়ের গুরুত্ব বেড়ে যাবে বহুগুন। দেখা যাবে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

মেমফিসও তাই বোঝাতে চাইলেন। অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত ভাবছেন তিনি। নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে মঙ্গলবার রোমানিয়ার মুখোমুখি হবেন তারা। ম্যাচটি সামনে রেখে এই ফরোয়ার্ড বললেন, আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে এখন আরও শক্তিশালী তারা।

“টুর্নামেন্ট তো কেবল শুরু হয়েছে। অবশ্যই ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা আলোচনা করেছি এবং একে অপরের সমালোচনা করেছি। আর প্রত্যাশিত ফলাফল না মিললে স্বাভাবিকভাবেই দ্বিমত তৈরি হয়। খারাপলাগা থাকাটাও যৌক্তিক। তবে সেসব এখন আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। দলের মধ্যে ভালো স্পৃহা কাজ করছে এবং আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।”

এবারের ইউরোতে গ্রুপ পর্বে ডাচদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশার ধারে কাছেও ছিল না। পোল্যান্ডকে হারিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে কোনোমতে গোলশূন্য ড্র করে তারা। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট না করলে ওই ম্যাচে হারের তেতো স্বাদই পেতে হতো নেদারল্যান্ডসকে।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে পায় হারের তেতো স্বাদ। ‘ডি’ গ্রুপে ফরাসিদের পর ডাচরা ফেভারিট থাকলেও, চমকে দিয়ে দুই দলকে ছাড়িয়ে গ্রুপ সেরা হয় অস্ট্রিয়া। নেদারল্যান্ডস তো কোনোমতে জায়গা পায় নক আউট পর্বে, তৃতীয় সেরা চার দলের একটি হয়ে।

চোট থেকে সদ্য সেরে ওঠা মেমফিসকে ইউরোর প্রথম দুই ম্যাচে পুরো সময় খেলাননি কোচ রোনান্ড কুমান। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে অবশ্য ৯০ মিনিটই মাঠে ছিলেন তিনি। একটি গোলও করেন এই ফরোয়ার্ড। দল হারলেও ওই লড়াইয়ে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ খুশি আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার।

“আমাকে আরও ভালো করতে হবে, তবে আমি গত ম্যাচের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। আমি প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বৈরথে জিতেছি, যদিও খুব বেশি বল পাইনি। এখান থেকে কেবল আরও ভালোই করতে পারি।”

অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগে অবশ্য বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মেমফিস। পোল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিপক্ষে যে একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। কঠিন ওই সময়টায় কোচকে পাশে পান দেশের হয়ে ৯৫ ম্যাচে ৪৬ গোল করা মেমফিস। বললেন, এই আস্থার প্রতিদান দিতে পারলে ভালো লাগবে তার।

“আমার ওপর কোচের আস্থা অনুভব করছি এবং আমি তার প্রতিদান দিয়ে চাই। যিনি দল বাছাই করবেন, তার সমর্থন পাওয়াটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।”

ইউরোতে একজন স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা কেমন হওয়া উচিত, সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে মেমফিস বলেন, “এটা সংখ্যার ব্যাপার নয়। ফাইনালে এক গোল করতে পারলে সেটা হবে আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।”