ঢাকা ঘিরে ফের ওয়াটার বাস

আগের চেষ্টা সাফল্য না পেলেও রাজধানীর সদরঘাট-গাবতলী বৃত্তাকার নৌপথে ফের চালু হলো ‘ওয়াটার বাস’ সেবা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2013, 10:52 AM
Updated : 4 July 2013, 10:52 AM

আগের দুটি ওয়াটার বাসের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে নতুন চারটি নৌযান, যেগুলো নির্মাণে সরকারের তিন কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৃহস্পতিবার গাবতলীর ‘ওয়াটার বাস ল্যান্ডিং স্টেশনে’ নতুন করে এ সেবার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়াটার বাসগুলো প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৪৫ মিনিট পর পর গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

সদরঘাট থেকে গাবতলী যেতে সর্বোচ্চ ভাড়া পড়বে ৪০ টাকা। আর যে কোনো দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী বলেন, নদী খননের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে তিনটি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও ১১টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে।

“অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধার কথা বিবেচনায় সরকার নৌ-পথের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ১১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নদী খননের কাজ শুরু করেছে।”

নদীকে দখলমুক্ত রাখতে সরকার নদীর তীরে সীমানা পিলার ও ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পুরোনো দুটি ওয়াটার বাসের প্রতিটিতে ৩৫টি করে আসন থাকলেও নতুন বাসগুলোতে ৮১টি করে আসন রয়েছে।

আগের দুটি বাস নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল এক কোটি ১২ লাখ টাকা। আর নতুন চারটি ওয়াটার বাস তৈরিতে খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা।

রাজধানীর সদরঘাট-গাবতলী বৃত্তাকার নৌ-পথের ২৯ কিলোমিটার পথ চালুর পর ২০০৪ সালে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ নামে একটি যাত্রীবাহী নৌযান চালু করা হলেও এক মাস না যেতেই তা বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৮ অগাস্ট নতুন দুটি ওয়াটার বাস চালু করে, যেগুলো বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে চলছিল ‘খুড়িয়ে খুড়িয়ে’।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান শামছুদ্দোহা খন্দকার বক্তব্য দেন।