যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আপিল শুনানি শুরু হবে ৩১ মার্চ।
Published : 10 Mar 2013, 03:27 AM
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।
অন্যদিকে কাদের মোল্লার পক্ষে ছিলেন তার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।
এম কে রহমান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি- দুপক্ষই আপিল করেছে। ৩১ মার্চ থেকে একইসঙ্গে শুনানি হবে।
শুনানির জন্য ২৪ মার্চের মধ্যে দুই পক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেছে আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষ এরই মধ্যে তা জমা দিয়েছে বলে প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক এম কে রহমান জানান।
একাত্তরে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ না আসায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ায় গত ৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে অভিযোগ থেকে খালাসের আবেদন জানিয়ে পরদিন আপিল করেন কাদের মোল্লা।
আইন অনুযায়ী আপিল বিভাগে ৬০ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে।
ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং একটি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
এরমধ্য দুটি অভিযোগে কাদের মোল্লার ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হয়। আর অন্য দুটি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে আগে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিধান ছিল না। শুধু যে কোনো খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পরত রাষ্ট্রপক্ষ।
আইনের এ অসামঞ্জস্যতা দূর করতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস করা হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৩’। এতে উভয় পক্ষেরই আপিলের সুযোগ তৈরি হয়।