চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে নয় পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
Published : 28 Jan 2013, 11:35 AM
আহতদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যসহ গুরুতর পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তি দাবিতে রোববার দুপুরে উপজেলার চাম্বল বাজারের জমায়াত-শিবিরের কর্মীরা সমাবেশ করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়।
বাঁশখালী থানার ওসি আবদুস সবুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে কয়েকশ জামায়াত-শিবিরকর্মী চাম্বল বাজারে একত্রিত হয়ে ব্যানার লাগিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ গিয়ে তাদের ব্যানার খুলতে বললে শিবিরকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
ওই সময় পুলিশ উপজেলা জামায়াতের আমির জহিরুল ইসলামকে আটক করে বলে জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জড়ো হয়ে চাম্বল বাজারে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় শিবির কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল।
পুলিশ প্রায় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইলতুৎমিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদের মধ্যে আতাউর রহমান, আবদুল কাদের, আবুল কাশেম ও আহাবুলকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল কামাল হোসেন জানান, সিএনজি চালক নূরুল হুদাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাতে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইলতুৎমিশ।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করার চেষ্টা চালায় এবং পুলিশের ওপর হামলা করে। সকালে নগরীর বিআরটিসি মোড়ে শিবিরের হামলায় আহত হন দুই পুলিশ সদস্য।