পুলিশ বলছে, রোববার সন্ধ্যায় সেতুর ২৭ এবং ২৮ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝি এলাকায় মোটরসাইকেলে চড়ে মোবাইলে ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন ওই দুই তরুণ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দুইজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন চলন্ত অবস্থায় ভিডিও করছিলেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি মোবাইলে থাকা ভিডিওতে একটি ট্রাক ওভারটেক করার দৃশ্য দেখা গেছে। এরপরই ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। মনে হচ্ছে তারা ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন।”
৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে বাইসাইকেল, অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা ছিল না। বাইকের জন্য ১০০ টাকা টোলও নির্ধারিত হয়েছিল।
শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। তখন থেকেই মোটরসাইকেলের ঢল নামে। সন্ধ্যার পরও শত শত মোটরসাইকেলকে সেতুর দুই প্রান্তের টোল প্লাজায় ভিড় করে থাকতে দেখা যায় পার হওয়ার অপেক্ষায়।
মোটর বাইকের আরোহীরা সেতুর উপর উঠে দল বেঁধে, আনন্দ-উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ছিল দিনভর। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বাইক দুর্ঘটনার খবর আসে সোশাল মিডিয়ায়।
ফেইসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর মাঝখানে বিভাজকের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দুই তরুণ।
“ফেরার পথে আমাদের দুটো মোটরসাইকেল আগে চলে এলেও আরেকটা পিছিয়ে পড়ে। ওদের দেরি দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। কিন্তু না আসায় পেছনে ফিরে গিয়ে দেখি ওরা দুর্ঘটনায় পড়েছে। পরে ওদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।”
এ ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থানায় একটি মামলা করা হবে বলে জানান ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির। আর সেতু বিভাগ সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।